প্রত্যয় ডেস্ক, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ কক্সবাজার জেলার আটটি উপজেলার চার শতাধিক পুস্তক বিক্রয়কারি ছোট বড় প্রতিষ্ঠানের অবস্থা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। চলমান বিশ্ব করোনা মহামারীর শুরুতে চলতি বছরের মার্চ থেকে স্কুল, কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হলে সহায়ক বই, খাতা, কলম, স্টেশনারী বিক্রয় প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। বিক্রয়ের আশায় দোকানে আনা লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল বিক্রি সম্পুর্ণ বন্ধ হয়ে গেলে জেলার চার শতাধিক লাইব্রেরী মালিকরা মারাত্বক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাদের দোকান ভাড়া, কর্মচারীদের বেতন দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে। অনেক পুস্তক বিক্রয়কারি প্রতিষ্ঠান বাধ্য হয়ে বিদায় করে দেয়া হয়েছে অনেক কর্মচারীদের। এ ছাড়াও পরিবার পরিজন নিয়ে আর্থিক কষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করছে। গত আগস্টে স্কুল কলেজ খুলে দেয়ার আশ্বাস পেয়ে আশায় বুক বেঁধে ছিল পুস্তক ব্যবসায়ীরা (লাইব্রেরী মালিকরা)। তবে এখনো পর্যন্ত স্কুল কলেজ না খোলায় তাদের লালিত আশা ভেঙ্গে যায়।
পুস্তক বিক্রয়কারি প্রতিষ্ঠান গুলো নির্ভরশীল একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর । যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো খোলে দেয়া না হয় এত গুলো পুস্তক বিক্রয়কারি প্রতিষ্ঠান এতবড় ক্ষতি পুষিয়ে উঠে পারবে কি ! পুস্তক বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের দাবি যদি এভাবে চলতে থাকলে হতশার মধ্যে মৃত্যু ঘটতে পারে। এই ব্যাপারে কক্সবাজার জেলার সকল পুস্তক বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের দাবী যদি সরকার সু-দৃষ্টি দিলে অচিরেই রক্ষা পাবে পুস্তক বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান। আর কত অপেক্ষার প্রহর গুনবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্ভরশীল পুস্তক বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান গুলো। তাদের নিয়ে কেউ ভাবছে না কিংবা কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। বর্তমানে কক্সবাজার জেলার পুস্তক বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান গুলো অনিশ্চয়তার মধ্যে জীবনযাপন করছে।
রিপোর্টঃ মোহাম্মদ সাজেদুল হোছাইন টিটু